আলু-পেঁয়াজে অশনি সংকেত : বাংলাদেশে রফতানি করতে চায় না পশ্চিমবঙ্গ
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২৫-১১-২০২৪ ০২:৫১:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৫-১১-২০২৪ ০২:৫১:১৯ অপরাহ্ন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ওই প্রদেশের উৎপাদিত এই নিত্যপণ্য রফতানির বিরোধিতা করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই দুটি পণ্যের স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে আগের স্লট বুকিং থাকা এসব পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
ভারতের হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খোকন সরকার বলেন, আলু ও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, কিন্তু কতটুকু কী হবে বলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যেই ভারতের মোহিদিপুর বন্দর দিয়ে রফতানি বন্ধ রেখেছে। হিলি দিয়েও সকাল থেকে বন্ধ ছিল, গাড়ি ছাড়ছিল না। এখন আবার চালু হয়েছে। পরে কী হবে বোঝা যাবে।
হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ও দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পণ্যটি আমদানি করা হচ্ছে। তবে আজ দুপুরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খবর পায় যে ভারতের রাজ্য সরকার আলু ও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেবে। পরে কী হবে সেটি বোঝা যাবে রাজ্য সরকারের মিটিং সেটি শেষ হলে। তবে আগে যেসব আলু ও পেঁয়াজের স্লট বুকিং নেওয়া ছিল আজ শুধুমাত্র ওই ট্রাকগুলো দেশে প্রবেশ করবে। স্লট বুকিং হচ্ছে, ভারত থেকে প্রতি ট্রাক পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ১০ চাকার ট্রাকে ১০ হাজার, ১২ চাকার ট্রাকে ১২ হাজার ও ১৪ চাকার ট্রাকে ১৪ হাজার টাকা ট্যাক্স নেয়। সেটি প্রদান করার পরে রফতানির লক্ষ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু আজ সকাল থেকে আলু ও পেঁয়াজের স্লট বুকিং বন্ধ করে রেখেছে রাজ্য সরকার।
হিলি স্থলবন্দর বন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যে আলু উৎপাদন হয় সেটি অন্য এলাকায় যেতে দেবে না রাজ্য সরকার। আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলু আমদানি করবো না। অন্য প্রদেশ থেকে আলু আমদানি করবো। পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও একই কথা বলছে রাজ্য সরকার। তবে এখনও আলু ও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতেও ঢুকবে। ভয়ের কোনও কারণ নেই। আমরা নিয়মিত ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স