ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুধের রাজ্যে নারীদের পদচারণা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৬-১১-২০২৪ ০১:২৮:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৬-১১-২০২৪ ০১:২৯:২৭ অপরাহ্ন
দুধের রাজ্যে নারীদের পদচারণা ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
দেশের অন্যতম দুগ্ধ ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর। এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ গো-চারণ ভূমি। এর প্রায় ১৫শ একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠেছে ছোট-বড় মিলে ৩০ হাজারের মতো গো-খামার। যার সিংহ ভাগ পরিচালনা করেন নারীরা। এ খামারগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ লিটার দুধ উৎপন্ন হয়। আর উৎপাদিত এ দুধ সরবরাহ করা হয় দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটাসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।

সূত্রমতে, এক সময় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উৎপাদিত দুধ সমিতিভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি ছাড়া আর কিছুই করতে পারতেন না খামারিরা। এতে দুধের সঠিক বাজারমূল্য পেতেন না তারা। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সে চিত্র। প্রান্তিক খামারে উৎপাদিত দুধকে ঘিরেই স্বপ্ন বুনছেন উদ্যোক্তারা। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করছেন নারী উদ্যোক্তরাও। দাম ভালো পাওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও হচ্ছে অনেকের।

দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জে বর্তমানে খামারিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষায় স্থানীয় উদ্যোক্তারা গড়ে তুলেছেন প্রায় অর্ধশত দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের আর্থিক সহায়তায় আধুনিক প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান।

উদ্যোক্তা হেলাল আহমেদ জানান, ‘আমরা প্রতিদিন প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে সংগ্রহ করি। আর সংগৃহীত এসব দুধ থেকে উৎকৃষ্ট মানের মাঠা, লাবাং, ঘি,পনির ও ছানাসহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে।’

আরেক নারী উদ্যোক্তা রাইসা খাতুন বলেন, ‘আমি দুবছর আগে এখানে একটি কারখানা গড়ে তুলেছি। আমার এখানে বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত এসব পণ্যের চাহিদা ভালো থাকায় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। আমাদের এ কারখানায় অনেক মানুষেরই কর্মসংস্থান হয়েছে। বিশেষ করে নারীদের বেশি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’ 

শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জেলার সম্ভাবনায় এ দুগ্ধশিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারিভাবে উদ্যোক্তাদেরেআরও বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত। আমাদের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ