ঢাকা , শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকেও দীর্ঘদিন মানবে না: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৪ ০৩:৩৮:০০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৪ ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন
​জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকেও দীর্ঘদিন মানবে না: মির্জা আব্বাস ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
অবিলম্বে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার আহবান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘জাতিকে অন্ধকারে রেখে আপনারা যা খুশি তাই করবেন, আমরা তো সেটা মেনে নিতে পারবো না। সুতরাং, জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখবেন না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন গত ১৬ বছরের বিনা ভোটের সরকারকে মানেনি, এখন এই সরকারকেও দীর্ঘদিন মানবে না।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবু’র ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম ও প্রজন্ম একাডেমির যৌথ উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে। সামনে আরও ঘোলাটে হতে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই সরকার অবশ্যই জাতিকে একটা আশার আলো দেখাবে।  তবে আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের ওপর থেকে বিশ্বাস হারায়। 
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বর্তমানে সংস্কারের কোনও লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। নির্বাচন নিয়ে আপনারা কোনও কথা বলছেন না। আমরা নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে পড়েছি। এখন আমরা যদি বলি, আপনারা নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন। সুতরাং, কোনও রকম ছলচাতুরি করবেন না। 
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, সংবিধান সংশোধন করার আপনারা কে? পার্লামেন্ট ছাড়াই সংবিধান সংশোধন করে ফেলবেন? মনে রাখতে হবে, সংবিধান কোনও রাফ খাতা নয় যে, যা খুশি তাই করবেন। সংবিধান সংশোধন কিংবা পুনর্লিখন করতে হলে, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন, যারা স্টেকহোল্ডার রয়েছেন— তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করতে হবে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আগে আমরা কারাগারেই থাকতাম, মাঝে মধ্যে কারাগার থেকে বের হতাম। কারাগার ছিল আমাদের আবাসিক ঠিকানা। কারণ, গত ১৬ বছরে আমাদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছে। সরকারকে বলবো, আমাদেরকে-জনগণকে শান্তি দিন, স্বস্তি দিন। অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।       
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে বর্তমানে একটা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই সরকার বেশি সময় থাকবে, না যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করে চলে যাবে— বুঝতে পারছি না। আপনারা আমাদের সহযোগিতা চান কিনা, সেটাও বুঝতে পারছি না।
অনুষ্ঠানে আলোচ্য বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন। প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজীর সভাপতিত্বে এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের  সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রয়াত সাবুর সহধর্মিণী হোসনে আরা বেগম রিনা, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মিজানুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপি'র তথ্য সম্পাদক মজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সহ-সভাপতি শারমিন আহমেদ রিনা, প্রজন্মের নেতা মাইনুদ্দিন আহমেদ তুহিন, আবু হায়দার মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, কবীর হোসেন প্রমুখ।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ