ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সোহেল তাজের পদযাত্রা শুরুর আগেই শেষ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৩-১১-২০২৪ ০৮:৪৪:২৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-১১-২০২৪ ০৮:৪৪:২৪ অপরাহ্ন
​সোহেল তাজের পদযাত্রা শুরুর আগেই শেষ ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি ডেকেছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। রোববার (৩ নভেম্বর) পদযাত্রা শুরুর আগেই দাবি সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ। পরে আর পদযাত্রা করার প্রয়োজন হয়নি। তবে এ সময় সাকুরা রেস্টুরেন্টের উল্টো পাশে শতাধিক পুলিশকে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই কলঙ্কিত দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি করেছেন সোহেল তাজ। বাকি দুটি দাবি হচ্ছে—১০ এপ্রিল ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যক্তির অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সোহেল তাজ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সোহেল তাজ বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, যে দেশে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি থাকবে না। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তরুণেরা যে দাবি নিয়ে এসেছেন, সেটা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। আজকে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করতে চাচ্ছে। তবে দুর্ভাগ্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। যার কারণে বাংলাদেশকে ধ্বংসের পথে বারংবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে তরুণদের আত্মাহুতির মাধ্যমে আরেকটা সুযোগ পেয়েছি, বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করার। মুক্তিযুদ্ধে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাঁদের অবদান তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারলে, তাঁরা অনুপ্রাণিত হবে। অনুপ্রেরণা দিয়েই আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।’
আজকের পদযাত্রা শেষ পদযাত্রা উল্লেখ করে সোহেল তাজ বলেন, ‘আজকের এই পদযাত্রা আমার শেষ পদযাত্রা। ব্যক্তিগতভাবে আমি লজ্জিত। আমার পথে নামতে হচ্ছে এই দাবিগুলো নিয়ে। এটা রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন করার কথা।’ তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবার বা আমার পিতার জন্য এই আন্দোলন না। এই পদযাত্রা করেছি বাংলাদেশকে ভালোবেসে। আমি চাই আমার সন্তান, আপনাদের সন্তান যেন সুন্দর বাংলাদেশ পায়।’

বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ