জমির মালিকানা অস্বীকার করলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী
আপলোড সময় :
০১-১১-২০২৪ ০৭:১২:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০১-১১-২০২৪ ০৭:১৮:৫৩ অপরাহ্ন
ফাতেমা আক্তার
অবশেষে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে দলিল করা ৯৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের আট একর জমির মালিকানা অস্বীকার করলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার। গত ১ অক্টোবর ঢাকার একটি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এক হলফনামায় এ জমির মালিকানা তিনি অস্বীকার করেন।
হলফনামায় তিনি দাবি করেন, রেজিস্ট্রিকৃত ওই সাফ কবলা দলিল আমি ও আমার নিকটজনের অজান্তে কে বা কারা সম্পন্ন করেছে যা আমি অবগত নই। আমি বিষয়টি অবগত হয়ে আমার প্রতিনিধির মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত জেনে দলিলের কপি সংগ্রহ করি। তিনি হলফনামায় আরও উল্লেখ করেছেন, আমি বা আমরা অবগত না থাকায় অত্র দলিলে আমি বা আমার নিকটজনের কোনরূপ স্বত্ত বা মালিকানা থাকবে না। ভবিষ্যতেও দাবি করবো না। এ নিয়ে ভবিষ্যতে কোন অসুবিধা বা বিতর্ক, বিবাদ দেখা দিলে আমি বা আমার নিকটজন দায়-দায়িত্ব বহন করবো না। এমনকি দলিলটির মূল্য ও রেজিস্ট্রি খরচ তিনি পরিশোধ করেননি বলে উল্লেখ করেন। এই হলফনামাটি অতি সম্প্রতি কলাপাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করা হয়েছে। এনিয়ে এখন মানুষের মাঝে চলছে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সমালোনা।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর এ জমি ফাতেমা আক্তারের নামে খেপুপাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ৪৫১২ নম্বর দলিলের মাধ্যমে ক্রয় দেখানো হয়েছে। তাপস সাহা গং এ জমির বিক্রেতা। কলাপাড়া উপজেলা সদরের পৌরসভা লাগোয়া ইটবাড়িয়া মৌজার জেএল নং-০৮, ১৭৩/১ নং খতিয়ানে এই জমির অবস্থান দেখানো রয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ২০১৯ সালের সম্পাদিত দলিল নিয়ে এখন কেন অস্বীকার করলেন। আর কোটি টাকার সম্পত্তির দলিল সম্পাদনের জন্য রেজিস্ট্রি খরচ বাবদ স্ট্যাম্প ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা, ফি এক লাখ ৯৯ হাজার ৮২০ টাকা, ডিসি ও ইউপি কর বাবদ ২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪০ টাকা, উৎস্য কর বাবদ ৯৯ হাজার ৭৮০ টাকা, মোট ৮ লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ টাকা কে খরচ করল।
পটুয়াখালী ৪ আসনের (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অন্তত একক ও যৌথভাবে ২৭টি দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌজায় অন্তত ৩৫ একর জমি ক্রয় করেছেন। এর মধ্যে আবার ঘোষণাপত্র দলিলের মাধ্যমেও কুয়াকাটায় ৮০ শতক জমির গ্রহীতা হয়েছেন। একইভাবে আমমোক্তার নামার মাধ্যমেও কিছু জমির মালিক হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফাতেমা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। কলাপাড়া উপজেলা সাব রেজিস্টার কাজী নজরুল ইসলাম জানান, তিনি ফাতেমা আক্তারের হলফনামাটি পেয়েছেন।
বাংলা স্কুপ/কলাপাড়া প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স