ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​জীবন দিয়ে হলেও শনিবার সমাবেশ : জি এম কাদের

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০১-১১-২০২৪ ০৪:৩৭:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-১১-২০২৪ ০৭:৩৮:১০ অপরাহ্ন
​জীবন দিয়ে হলেও শনিবার সমাবেশ : জি এম কাদের ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
আগামীকাল শনিবার 'জীবন দিয়ে হলেও' কাকরাইলে সমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, যে কর্মসূচি দিয়েছি, সে কর্মসূচি চালু থাকবে। কেউ ভয় পাবেন না যে যেখানে আছেন। ...আমরা মরতে আসছি, আমরা মরতে চাই। 
জি এম কাদের বলেন, আমরা আগামীকাল (২ নভেম্বর) একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, সেই আয়োজনকে ঘিরে গতকাল রাতে ছাত্রজনতার ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন নেতা বেনিয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। আমরা জানতে পারি পরে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনির, ইসমাইল, আনোয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি দল আমাদের পার্টি হয়েছে হামলা করে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আগামীকালের যে সমাবেশ নির্ধারিত ছিল সেটাকে নস্যাৎ করতে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। জাতীয় পার্টি জীবন দিয়ে হলেও সেই সমাবেশ করবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ব্যানারে প্রথমে হামলা, ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি বলেছে, ওই সময় নেতাকর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ২ তারিখ (২ নভেম্বর শনিবার) যে কর্মসূচি দিয়েছি, সে কর্মসূচি চালু থাকবে। কেউ ভয় পাবেন না যে যেখানে আছেন। ...আমরা মরতে আসছি, আমরা মরতে চাই। কত লোক মারবেন উনারা, আমরা সেটা দেখতে চাই। মনে রাখবেন, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। হাত দিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারলে মুখ দিয়ে করো। মুখ দিয়ে না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করো। আমাদের সেটা করতে হবে। তার জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।
সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের ২০০৮ সালের নবম সংসদ থেকে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলা হচ্ছে। কিন্তু দোসর কীভাবে, এর কোনো জাস্টিফিকেশন নেই। ২০০৮ সালে নবম সংসদে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করেছি। কিন্তু ওনার (শেখ হাসিনার) সব অপকর্মে আমরা একাত্ম ছিলাম না। এটা প্রমাণিত।
জি এম কাদের বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এরশাদ সাহেবকে জোর করে সিএমএইচে ভর্তি করে, দলে ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র একটি অংশকে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও তারা একই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে। এটা কি সরকারকে বৈধতা দেওয়া হয়নি? ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনও আমরা করতে চাইনি, জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনা অনেকে দেখেছেন এবং জানেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অপরাধ—এমনটা পৃথিবীর কোথাও আছে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি, আমার একটি দল আছে। আমার দল যার সঙ্গে ইচ্ছা অ্যালায়েন্স করব। যখন ইচ্ছা আমি নির্বাচন করব, যখন ইচ্ছা আমি নির্বাচন করব না। এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত, এখানে অপরাধটা কী। যখন আমি নির্বাচন করতে চাচ্ছি না, তখন আমাকে গায়ের জোরে নির্বাচনে নেওয়া হচ্ছে। আর যখন আমি নির্বাচনে গেলাম, তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।


বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ