ঢাকা , রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪ , ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৯-১০-২০২৪ ০৫:০৭:০০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-১০-২০২৪ ০৬:১০:০৪ অপরাহ্ন
​লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ​ফাইল ফটো
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে। বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে লন্ডনের কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসেটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানে থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে দ্রুত তাঁকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি, যোগাযোগ চলছে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টে ওভারের পরে মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, সব কাজ শেষ করেই দ্রুত ম্যাডাম বিদেশে যেতে পারবেন। ম্যাডাম তাঁর গুলশানের বাসায় আগের মতোই মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে আছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ তার সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়স্বজন যারা যাবেন তা জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভার ট্রান্সপারেন্ট করতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দুই-একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস,কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাঁকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি প্রায় দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ, আওয়ামী লীগ সরকার শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়। এরপর প্রতি ছয় মাস পর পর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হত।
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে একাধিকবার হাসপাতালেও ভর্তিও হতে হয়েছে এবং তিনি দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটিয়েছেন। সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, তাই দেশে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ