টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ নোয়াখালী
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৯-০৭-২০২৫ ১২:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৯-০৭-২০২৫ ০১:৪২:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
টানা বৃষ্টিতে আবারও জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নোয়াখালী জেলা শহর ও পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক। বসতবাড়িতেও জমেছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন নোয়াখালীবাসী। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে সরেজমিনে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন জলাবদ্ধতা দেখা যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।
এর আগে, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাইজদী আবহাওয়া অফিসে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এক টানা ৩ ঘণ্টার বৃষ্টির পর থেমে থেমে আরও বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে শহরের প্রধান সড়কগুলো হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে যায়।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং খাল-জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসে একাধিকবার টানা বৃষ্টির ফলে জেলার ৯টি উপজেলা ও পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতার কারণে সোমবার বিপাকে পড়েন অফিস-আদালতের কর্মজীবী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। বিশেষ করে মাইজদীর স্টেডিয়াম এলাকা, ইসলামিয়া সড়ক, টাউন হল মোড়, পৌর বাজার সড়ক, জেলা আদালত চত্বর, রেকর্ড রুমসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়।
পৌরসভার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘হাসপাতাল সড়ক দিয়ে রোগী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ হাজারো মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু সড়কটি এখন গলার কাঁটা। এটা খুবই হতাশাজনক। আমরা দ্রুত সংস্কার চাই।’জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেম, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী তিন-চার দিন থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি খাল দখলমুক্ত করেছি। খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনস্বার্থে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স