সিলিন্ডারে অর্ধেক হাওয়া, অর্ধেক গ্যাস
এলপিজি ব্যবসায় অভিনব প্রতারণা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৩-০৭-২০২৫ ০১:৫৪:১৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৩-০৭-২০২৫ ০১:৫৪:১৬ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
সামনে মুরগির খামার, ভেতরে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার প্রক্রিয়াকরণের কারখানা। রয়েছে কম্প্রেসার ও হাওয়া দেওয়ার মেশিন। এই মেশিন দিয়ে বোতল অর্ধেক খালি করে এলপি গ্যাস অন্য বোতলে ভরা হয়। তারপর বাতাস ও পানি দিয়ে বোতলের বাকি অর্ধেক পূর্ণ করে দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো লাগিয়ে বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা হয় সিলিন্ডারগুলো।
এই অভিনব প্রতারণার ঘটনা ধরা পড়েছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের একটি দোকানে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সম্প্রতি ইউনিয়নের খালদাদ খান পাড়ার তেলি পুকুরপাড় সংলগ্ন ওই মুরগির খামারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল। এ সময় কম্পেসার মেশিন, পাওয়ার সাপ্লায়ার মেশিন, ওজন মাপার যন্ত্র, ২৭১টি সিলিন্ডার, ৩০ মিটার সংযোগ পাইপ, ১০০ লেবেল জব্দ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মো. ইলিয়াছ (২৫) নামে একজনকে আটক করা হয়। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়। ইলিয়াছ ওই এলাকার আবদু শুক্কুরের পুত্র।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ ইউনিয়নের সড়কের পাশে অর্ধশতাধিক গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউন রয়েছে। এগুলোর নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। নেই অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা। এসব অবৈধ গোডাউনে অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল বলেন, ‘মুরগির খামারের ভেতরে কম্প্রেসরের মাধ্যমে পানি ও বাতাস মিশিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি করছিল একটি চক্র। তারা এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের স্টিকার লাগিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।
কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুট্টো বলেন, ‘মুরগির খামারের আড়ালে সিলিন্ডারে পানি ও হাওয়ার সাথে অল্প গ্যাস দিয়ে বাজারজাত করছিল ওই চক্র। অথচ আমরা টেরই পেলাম না। এটি বড় ধরনের প্রতারণা। এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হাসান বলেন, ‘রাতের বেলা মানুষ ঘুমিয়ে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ, অনৈতিক, অনুমোদনবিহীন কাজটি করছিল চক্রটি। একজন সচেতন মানুষের তথ্যের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে সফল অভিযান সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতঃপূর্বে উপজেলায় একই ক্যাটেগরির অনুমোদনবিহীন ট্রাকে করে সিএসজি অটোরিকশায় গ্যাস বিক্রি হতো। এগুলো ছিল একেক বোমা। এসব আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স