প্রেমিকার বিয়ে ভাঙতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়ে গণধোলাই খেলেন সুলাইমান মুন্সী নামে এক বিজিবি সদস্য। পরে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) শরীয়তপুর সদর উপজেলার মধ্য চরসুন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুলাইমান মুন্সী শরীয়তপুর সদর পৌরসভার কাশাভোগ গ্রামের মোতালেব মুন্সীর ছেলে। পাবনার ঈশ্বরদী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পোস্টিং ছিল তার।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিজিবি সদস্য সুলাইমান মুন্সী নিজের স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় গোপন করে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তাদের কিছু একান্ত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে ওই ছাত্রী সুলাইমানের প্রতারণার কথা জানতে পেরে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়।

কিছুদিন আগে ওই ছাত্রীর পরিবার অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করে। রোববার তার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বিয়ে ভাঙার উদ্দেশ্যে সুলাইমান পাত্রপক্ষকে তাদের গোপন ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, বিয়ের দিন সকালে তিনি সরাসরি ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন। এ সময় তার প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশ খবর দেয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, আমি তার বিয়ের কথা জানার পর সম্পর্ক রাখতে চাইনি। কিন্তু সে আগের ছবি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করত। বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে প্রায় এক লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার মেয়ের জীবনটা তছনছ করে দিয়েছে সুলাইমান। আমি তার কঠিন শাস্তি চাই, যেন আর কেউ এমন করতে না পারে।

বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুলাইমানকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে