ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫ , ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​গাজার পর এবার পশ্চিমতীরের দিকে কুদৃষ্টি ইসরায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০২:০৪:২৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০২:০৪:২৬ অপরাহ্ন
​গাজার পর এবার পশ্চিমতীরের দিকে কুদৃষ্টি ইসরায়েল ​ছবি: সংগৃহীত
গাজার পর এবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীর দখলে নিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের ১৪ মন্ত্রী। তাদের দাবি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। আর তাই পশ্চিমতীর দখলের জন্য এটিই “উপযুক্ত সময়”। খবর আনাদোলুর।

তুর্কি এ বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে এক চিঠির মাধ্যমে অবিলম্বে দখলকৃত পশ্চিমতীর পুরোপুরি ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তার নিজ দল লিকুদ পার্টির ১৪ জন মন্ত্রী।

বুধবার (২ জুলাই) রাতে এই চিঠিটি নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় এবং উগ্র-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সামাজিক মাধ্যমে সেটি প্রকাশ করেন। চিঠিতে বলা হয়, জুলাইয়ের ২৭ তারিখে শেষ হতে যাওয়া পার্লামেন্টের গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই ‘জুডিয়া ও সামারিয়া’ (ইসরায়েলি পরিভাষায় পশ্চিমতীর) সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করা হোক।

ইসরায়েলি এই মন্ত্রীদের দাবি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশলগত সমর্থন ও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। আর তাই এটিই পশ্চিমতীর দখলের জন্য “উপযুক্ত সময়”।তারা হুঁশিয়ারি দেন, যদি কেবল কিছু বসতি এলাকাকে স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিমতীরে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হয়, তবে তা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য “চরম হুমকি” হয়ে দাঁড়াবে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ইসরায়েলি মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন— প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থনীতিমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, জ্বালানিমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী, পরিবহনমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী, উদ্ভাবন, সংস্কৃতি, প্রবাস বিষয়ক, শিক্ষা, সামাজিক সাম্য এবং আঞ্চলিক সহযোগিতামন্ত্রী। এছাড়া ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাও এতে স্বাক্ষর করেছেন।

অবশ্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে আসছে যে পশ্চিমতীর একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই অঞ্চলের যে কোনও অংশ ইসরায়েল দখল করলে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি সমাধান ভেঙে পড়বে। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পশ্চিমতীর দখল করে রেখেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চালানো হামলার সময়কালেই পশ্চিমতীরে বসতি সম্প্রসারণ আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও অবৈধ বসতির বাসিন্দাদের হাতে অন্তত ৯৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
 
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ