পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০২-০৭-২০২৫ ০৩:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০২-০৭-২০২৫ ০৩:৫১:২৪ অপরাহ্ন
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের একটি অংশবিশেষ যুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে এ কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিধান কান্তি হালদার। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেনকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
এর আগে, সকালে উপজেলার মহিষখোচা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নে এ ভাষণের অংশবিশেষ ব্যবহার করে পরীক্ষা নেওয়া হয়।জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার ছিল ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ের পরীক্ষা। সেখানে সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপকে ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অংশবিশেষ। এটি শিক্ষার্থীদের হাতে বিতরণ করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে মহিষখোচা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এক সেট প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন পত্রে লেখা হয়, ইউনেস্কো ২০১৭ সালে একটি ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যার অংশবিশেষ এমন—‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’প্রশ্নপত্র প্রসঙ্গে মহিষখোচা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা উপজেলা শিক্ষক সমিতির কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে পরীক্ষা নিয়েছি। সমিতি নিজেরা প্রণয়ন না করে বগুড়ার একটি প্রেস থেকে ক্রয় করেছে। এমন সমস্যা শুধু আমার বিদ্যালয়ে নয়, উপজেলার ১০টি বিদ্যালয়ে এমন পরিস্থিতি হয়েছে।’এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম কাজল বলেন, ‘সমিতি কোনও প্রশ্ন প্রণয়ন করে না। যারা বলেছে তারা ভুল বলেছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তারা (বিদ্যালয়) সমিতির ক্রয় করা প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে।’আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিধান কান্তি হালদার বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষক সমিতির নেতা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে আগামী দিনের পরীক্ষার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করতে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স