ভারতের বাংলাদেশ সফরে সায় নেই দিল্লির: বিবিসি
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
০২-০৭-২০২৫ ০৩:২১:০৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০২-০৭-২০২৫ ০৩:৩১:৩৬ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
আগামী আগস্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নির্ধারিত থাকলেও তা ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল অনিশ্চয়তা। সফরের সূচি অনুযায়ী ১৭ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা থাকলেও এখনো ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
বিবিসি বাংলার একটি বিশদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রাজনৈতিক কারণেই এই সফর আটকে যেতে পারে। দিল্লির শীর্ষ প্রশাসনিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শীতলতা—এ মুহূর্তে সফর আয়োজনের জন্য ‘অনুপযুক্ত’ পরিবেশ তৈরি করেছে ভারতের দৃষ্টিতে।বিশেষ করে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্কে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তার প্রতিফলন মিলেছে কূটনৈতিক পর্যায়ে। ভারত মনে করছে, এই প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সফর আয়োজন দেশের ভেতরে ‘ভুল বার্তা’ দিতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে বিসিসিআই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে বিকল্প সময়সূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। বিবিসি বাংলার তথ্য অনুযায়ী, সফর সম্পূর্ণ বাতিল না করে ২০২৬ সালের আইপিএল শেষ হওয়ার পর জুনে আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যখন রাজনৈতিক আবহ কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে বলে ভারতের ধারণা।
এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেও বাংলাদেশ দল ভারত সফর করেছিল। তবে সেই সফর চূড়ান্ত হয়েছিল অনেক আগেই এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও তা সম্পন্ন হয়। যদিও তখন ভারতের একাধিক উগ্রপন্থি গোষ্ঠী সিরিজ বাতিলের দাবি তোলে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় #BoycottBangladeshCricket ট্রেন্ড করে। কিছু ম্যাচ ভেন্যুতে বাংলাদেশ দলকে কালো পতাকা দেখানোর ঘটনাও ঘটে।তবে সেই সিরিজে টেস্ট ম্যাচ থাকায় ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট হারানোর ঝুঁকি থাকায় ভারত সরকার সফর স্থগিত করেনি। কিন্তু এবার যেহেতু শুধুই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নির্ধারিত আছে, তাই ক্রিকেটীয় দিক থেকে এই সিরিজ বাতিলের প্রভাব খুব একটা পড়বে না বলে মনে করছে দিল্লি।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সম্প্রতি ঢাকার একটি দুর্গামণ্ডপ ভাঙার ঘটনার নিন্দাও করা হয়েছে, যা পরোক্ষভাবে এই সফর ঘিরে ভারতের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।সব মিলিয়ে, ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্ক এবারই প্রথমবারের মতো সরাসরি রাজনৈতিক আবহে প্রভাবিত হতে চলেছে। তবে ভারতীয় বোর্ড আশাবাদী, এটি একটি সাময়িক সংকট এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আবারও কার্যকর হয়ে উঠবে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স