দুর্নীতির মামলা মাথায় নিয়ে বহাল তবিয়তে হুজ্জত উল্লাহ!
আপলোড সময় :
২০-১০-২০২৪ ০৫:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২১-১০-২০২৪ ১২:২৮:০৬ অপরাহ্ন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হুজ্জত উল্লাহ। ডিপিডিসি এইচআর সূত্র জানায়, সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের 'ম্যানেজ' করার কারণেই তাঁকে এখনও বরখাস্ত করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে দুই প্রভাবশালী নির্বাহী পরিচালকের 'আশির্বাদে'র কারণে হুজ্জত উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে সংস্থাটির পরিচালক (প্রশাসন) সোনামনি চাকমা শোনালেন আরেক কথা। তিনি বলছেন, হুজ্জত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে, এটা শুনেছি গণমাধ্যম থেকে। দুদক আমাদের চিঠি দিয়ে অবহিত না করলে তাঁকে বরখাস্ত করতে পারি না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্থাটিতে অন্য কোন কর্মকর্তা দুদকের মামলায় কীভাবে বরখাস্ত হয়েছে, এটা আমার দেখার বিষয় না!
সূত্র আরো জানায়, হুজ্জত উল্লাহ তাঁর বরখাস্ত ঠেকাতে দুই পরিচালককে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ৮ জুলাই হুজ্জত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে সংস্থাটির জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মো. হুজ্জত উল্লাহ সম্পদবিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর নামে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪ হাজার ৭৯৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে এই আসামির বৈধ আয় পাওয়া যায় ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৯৩ টাকা।
অর্থাৎ তিনি নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯২ হাজার ৭০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।এছাড়া দুদকে দাখিল করা সম্পদবিবরণীতে ১ কোটি ৯০ লাখ ৬৮ হাজার ৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
তাঁর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের নামে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. হুজ্জত উল্লাহর নিজের এবং স্ত্রীর নামে অর্জিত মোট স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা।হুজ্জত উল্লাহর অর্জিত অর্থ স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের নামে ২০১১-২০১২ সালে ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকার প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছেন।সম্পদবিবরণীতে লেক সিটি কনকর্ড ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রকল্পে ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকার সম্পদ আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামি মাহমুদা খাতুন আয়কর নথিতে নিজ আয়ের উৎস হিসেবে পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেছেন।তবে অনুসন্ধানকালে মাহমুদা খাতুনের কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা করেছেন এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহারে আরও বলাহয়, যেহেতু তিনি একজন গৃহবধূ এবং কোনো প্রকার আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, সেহেতু তিনি স্বামীর অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে সম্পদশালী হয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪এর২৬ (২) ও২৭ (১) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স