ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​যে আড়তে প্রতি সন্ধ্যায় বিক্রি হয় কোটি টাকার পান

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০১-০৭-২০২৫ ১১:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-০৭-২০২৫ ১১:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন
​যে আড়তে প্রতি সন্ধ্যায় বিক্রি হয় কোটি টাকার পান সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
বিকেল গড়িয়ে দিনের আলো নিভলেই জমে ওঠে কোটি টাকার পানের হাট। সাধারণ হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগমন ঘটে দিনের আলোতে। আর পানের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন সন্ধ্যার পরে।বৃহস্পতিবার ও সোমবার ব্যতীত সপ্তাহের পাঁচদিন বসে এই হাট। প্রতিদিন এ হাটে পান বিকিকিনি হয় কোটি টাকার। যা গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সন্ধ্যার পরের এ পানের হাটকে ঘিরে ওই এলাকায় কাঁচাবাজার, মাছ বাজারসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যা রীতিমতো এখন ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠেছে।

কোটি টাকার এ পানের হাটের অবস্থান ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের টরকী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নীলখোলা এলাকায়।সরেজমিন দেখা গেছে, দিনের আলো গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নেমে আসে, ঠিক তখনই বিভিন্ন এলাকার পান চাষিরা ভ্যানযোগে বিক্রির জন্য তাদের পছন্দের আড়তে নিয়ে আসেন বরজের পান। পানগুলো আড়তে নিয়ে আসার পরপরই শুরু হয় গোছানোর কাজ। নীলখোলা এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পানের আড়তের প্রতিটিতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। যা দিয়ে তাদের সংসার চলে। পান চাষি, পাইকার, আড়তদার ও শ্রমিকদের আগমনে সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় এগারোটা পর্যন্ত সরগরম থাকে পানের হাট।


পান ক্রেতা (পাইকার) শাহজাহান তালুকদারসহ একাধিক পাইকাররা জানিয়েছেন, সপ্তাহের পাঁচদিন তারা টরকীর নীলখোলা নামক এলাকার পানের আড়ত থেকে পান ক্রয় করেন। একেকজন পাইকার প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার পান ক্রয় করেন। এসব পান এখান থেকে ঢাকা, সিলেট, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।একাধিক পান চাষি বলেন, আড়তগুলো গড়ে ওঠার আগে পান চাষিরা গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে পান বিক্রি করতেন। সেসময় অনেক পান অবিক্রীত থাকতো। আড়ত হওয়ার পর একটা সুবিধা হচ্ছে, পান অবিক্রীত থাকে না। যে কারণে আমরা আড়তগুলোতে পান বিক্রি করে আসছি।তারা আরও বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সাইজের একেক বিড়া পান আড়তে ৭০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে শীতের দিনে পানের দাম আরও বেশি

পানের হাটের আড়ত মালিকরা জানান, আড়তগুলো হওয়ার ফলে চাষিরা যেমন স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের পান বিক্রি করতে পারছেন, তেমনি ক্রেতারাও পান ক্রয় করে ব্যবসা করতে পারছেন। পানচাষি এবং ক্রেতাদের তারা সর্বোচ্চ সুবিধা দেন।গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, উপজেলার প্রায় ৬৮০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। আমরা পান চাষিদের সব ধরনের প্রযুক্তি ও পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছি। অন্য বছরের তুলনায় এবার পানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি পান চাষিরা লাভবান হতে পারবেন।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ