মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৪জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার (২৮ জুন) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার বিপরীত পাশে ঢাকামুখী লেনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার মধুগ্রাম গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান (৬৫), একই উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের মৃত ইনসান আলির ছেলে ডাক্তার জালাল। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেয়ার পরে আরও দুইজন মারা গেছে। তারা হলেন- যশোর সদর উপজেলার হালিম (৫৫) ও বাসের হেলপার হাসিব (৩২)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যশোর থেকে ঢাকাগামী নাইট কোচ হামদান এক্সপ্রেস চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের পর উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়ক দ্বীপের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার স্টেশন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন মারা যান।

এতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ জনে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

হাসাড় হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামদান পরিবহন বাসটি যশোর জেলার নোয়াপাড়া হতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে যাচ্ছিল। এক্সপ্রেসেওয়েতে চলন্ত অবস্থায় একটি মিনি ট্রাক বাসটির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে বাসের ২ জন যাত্রী নিহত হন।

হাসারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল কাদির জিলানী সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক গাড়ি দুটি আটক আছে তবে চালক পালিয়ে গেছে। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে