ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ , ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​রাজনীতি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ছেড়ে দেন: শিক্ষা উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ০৯:০৩:৫৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ০৯:০৩:৫৩ অপরাহ্ন
​রাজনীতি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ছেড়ে দেন: শিক্ষা উপদেষ্টা ​ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ‘কেউ যদি মনে করে আমি রাজনীতি করব, অবশ্যই আপনি রাজনীতির অঙ্গনে চলে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা আপনি ছেড়ে দেন। কারণ রাজনীতিতে যোগ্য লোকের দরকার আছে। সেখানেও আপনি সম্মান পাবেন। কিন্ত পঙ্কিল রাজনীতি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে আনবেন না। এ হচ্ছে আমাদের আহ্বান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সামনের দিনগুলো রাজনৈতিক সরকার আসবে তারা বিষয়গুলোকে বিবেচনায় আনবে।’

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন, রিসার্চ ফেয়ার এবং একাডেমিক এক্সিলেল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকতে পারে, কিন্ত সে রাজনৈতিক বিশ্বাস বিশ্বাসের পর্যায়ে থাকবে। সেই রাজনীতি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহর্দির মধ্যে আনব না। সেখানে আমি সকল ছাত্রের প্রতি দায়িত্ব যেটা সেটা আমি পালন করব।’

নিজের শিক্ষকতা জীবনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি ৪০ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষকতা করেছি। জ্ঞানত আমি কখনো ফাঁকি দেইনি। সব সময় নীতিবান শিক্ষক হিসেবে আদর্শ ধারণ করতে চেষ্টা করেছি। সব সময় পারিনি, কিন্ত করেছি। কিন্ত যখনই আমি দেখেছি, আমারই বন্ধু-বান্ধব টিচার্স লাউঞ্জে বসে, তাদের ৩০-৪০টা ক্লাস নেওয়ার কথা। তার মধ্যে তারা ৪-৫টা ক্লাস নিচ্ছে। পরে তারা বাকী ক্লাস নিচ্ছেন না। ছাত্র প্রতিনিধি এসে যখন বলছেন যে, ম্যাডাম বা স্যার আপনাদের ক্লাস আছে। তখন বলে বসো গিয়ে, আমি আসছি। আরও ১০-১৫ মিনিট গল্প করে তিনি গেলেন। আবার ক্লাস শেষ হওয়ার ১৫মিনিট আগে তিনি ফিরে আসলেন। এ ধরনেরও আমরা দেখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে শিক্ষক রিকোয়ারমেন্ট, সেখানে শিক্ষক রিকোয়ারমেন্ট হতো না। সেখানে ভোটার রিকোয়ারমেন্ট হতো। আমি বিশ্বাস করতে চাই, এই ধরনের একটা বাস্তবতা, আমরা পার হয়ে আসতে চাই। কাজেই নতুনভাবে আমাকে সব কিছু ঢেলে সাজাতে হবে। আমরা যদি আশা করি, আমাদের ছাত্ররা নিয়মিত ক্লাস করবে, আমরা যদি আশা করি তারা মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করবে, ফলে সেই পরিবেশ আমাকে সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে অব্যশই আমাদের শিক্ষকদের যে নিজস্ব যে নীতিবোধ সেটাকেও অনেক সমুন্নত রাখতে হবে। শিক্ষক হিসেবে আমার যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হবে।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালীর কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খানের জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ