কে এম নূরুল হুদাসহ সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্বাচনে নয়-ছয় ও পাতানোর অভিযোগ বিষয়ে তথ্য পেতে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে দেশজুড়ে এই বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। সোমবার আদালত নূরুল হুদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
শুধু ২০১৮ নয়, ২০১৪ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের কারচুপি নিয়েও অনুসন্ধান করছে দুদক। এর অংশ হিসেবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধান দল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য পত্র পাঠিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা কিছু রেকর্ডপত্র পেয়েছেন। আরও যে তথ্য প্রয়োজন, সেজন্য তারা কাজ করছেন।’
দুদক জানায়, নির্বাচনে নয়-ছয়ের অভিযোগে সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাসহ সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাদ যাবে না সংশ্লিষ্টরাও।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট অভিযোগ প্রমাণের সহায়ক যারা আছেন এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট যে ব্যক্তিরা আছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলা করবে বলে জানিয়েছে দুদক।
বাংলাস্কুপ/ প্রতিবেদক/এসকে
সাবেক সিইসি নুরুল হুদা রিমান্ডে