বাউফলে ১৩ দফা দাবি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন
আপলোড সময় :
১৭-১০-২০২৪ ০৯:৩৬:১১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৭-১০-২০২৪ ০৯:৩৬:১১ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
বিপ্লবী ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শতশত প্রাণের বিনিময়ে সাম্য, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশা পূরণে বাউফল উপজেলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা এবং আগামীতে সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সেক্টরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহবান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা।
তাঁরা বলেছেন, আমরা সংস্কার চাই, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই। বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বাউফল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মুনতাসির তাসরিপ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পড়ে শোনান। বিজ্ঞপ্তিতে ১৩ দফা দাবি উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম দাবিগুলো হলো- বাজার মনিটরিং বাড়ানো, পুলিশি কার্যক্রম বাড়ানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়ম বন্ধ, শিল্পকলা ও ক্রীড়া পরিষদের দলীয়করণ কমিটি বাতিল করে শিল্প ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নাগরিক প্রতিনিধির সম্মেলনে কমিটি করা, সরকারি বাৎসরিক বাজেট জনগণের সামনে উন্মুক্ত প্রকাশ করা ইত্যাদি। দাবিগুলো দ্রুত পূরণের জন্য আহবান জানানো হয়।
এছাড়াও ফেরিঘাট-লঞ্চঘাটে চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত ভাড়া তোলা বন্ধ করে ভাড়ার তালিকা সাদৃশ্য রাখা, ভূমি অফিসের ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করা, বিদ্যুৎ অফিসের গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করা, বাজারে মূল্য তালিকা সাদৃশ্য রাখা, শিক্ষার্থী বেল্লাল নিহতের ঘটনার তদন্ত, পাবলিক পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দুর্নীতির তদন্ত করা, মাদকের আখড়া বন্ধ করাসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক দাবি পূরণের বিষয় বারবার আশ্বাস দিয়েও কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ না করার অভিযোগ তুলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা প্রশাসন প্রধানের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার সমালোচনা করে বাউফলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
চাঁদাবাজি, দখল, লুটপাট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কাজে জড়িত রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতারও সমালোচনা করে তারা। পরবর্তীতে কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ফাতিমা জামান সামিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে সংস্কারের নানা বিষয় আলোচনা করেন বাউফলের আন্দোলনের সংগঠক রুমেন সিকদার, আয়সাতুন্নেসা বর্ষা, শুভ চন্দ্র, রুহুল আমিন, রেদওয়ানসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণ করেন এবং গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত শান্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে আহবান জানান।
বাংলা স্কুপ/পটুয়াখালী প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স