গাজীপুরের শ্রীপুরে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথে পোশাকশ্রমিক এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রযুক্তিগত সহায়তায় সোমবার (১৬ জুন) রাতে তাকে শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড এলাকা থেকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার লিটন মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আবদুল আউয়ালের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামে ভাড়া থেকে ‘ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড’ নামক একটি নিরাপত্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন এটিএম বুথে কর্মরত ছিলেন।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় ছয় হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। নিয়মিতভাবে ওই বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে লিটনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে লিটন তাকে দ্বিগুণ অর্থাৎ বারো হাজার টাকা বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখায়।

গত রোববার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় লিটন ভুক্তভোগীর বাবার মোবাইলে ফোন করে মেয়েকে বুথে পাঠাতে বলে। পরে কিশোরীকে বুথের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন’ বলে পাশের গ্লাসকেস কক্ষে বসিয়ে রাখে। প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল ১০টার দিকে কক্ষের ভেতর একা পেয়ে লিটন মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর মেয়েটি কান্না করতে করতে বেরিয়ে এসে রাস্তায় বাবার সঙ্গে দেখা হলে ঘটনা খুলে বলে। এরপর তার বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই লিটন স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল বারিক জানান, মামলার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। সোমবার রাত ১০টার দিকে আনসার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে