ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ , ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ই-মেইল সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন?

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০১:০০:৫০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০২:১৬:০৫ অপরাহ্ন
ই-মেইল সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন? ​প্রতীকী ছবি
বর্তমানে ডিজিটাল জগতে ই-মেইল হ্যাকিং দিন দিন বাড়ছে। ই-মেইল ব্যবহারকারীদের অসচেতনতার সুযোগ নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। তবে কিছু সহজ নিরাপত্তা সেটিংস চালু করলেই হ্যাকারদের থামানো সম্ভব। এতে সময়ও লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট।

টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (২এফএ) চালু
ই-মেইলে নিরাপত্তা বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বা ২এফএ চালু করা। এতে শুধু পাসওয়ার্ড জানলেই হবে না, হ্যাকাররা আরেকটা ধাপে কোড যাচাই না করে লগ ইন করতে পারবে না। এটি মাল্টি ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের (এমএফএ) অন্যতম উপায়। তবে অথেন্টিকেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো অথেন্টিকেটর অ্যাপ, যেমন গুগল অথেন্টিকেটর ব্যবহার করা। এ অ্যাপগুলো একটি কোড দেখায়, যা প্রতি ৩০ সেকেন্ডে বদলে যায়। কেউ এ কোড ছাড়া লগ ইন করতে পারবে না।

থার্ড পার্টি অ্যাপের অ্যাকসেস বন্ধ
অনেক সময় ই-মেইল দিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে সাইন ইন করা হয়। ফলে সে অ্যাপে ই-মেইলের অ্যাকসেস থেকে যায়। যে অ্যাপগুলো সচরাচর ব্যবহার করা হয়, সেগুলোয় অ্যাকসেস সমস্যা না হলেও থার্ড পার্টি অ্যাপগুলোয় এ অ্যাকসেস বিপজ্জনক হতে পারে। তাই কয়েক সপ্তাহ অন্তর একবার ই-মেইল অ্যাকসেস দেয়া অ্যাপগুলোর রিভিউ করা জরুরি। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর অ্যাকসেস বন্ধ করা উচিত। বিশেষ করে যে অ্যাপগুলো আর ব্যবহার করা হয় না।

ই-মেইলের এক্সটার্নাল ইমেজ লোডিং ফিচার বন্ধ
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক হ্যাকার ই-মেইলে ছবি বা ট্র্যাকিং পিক্সেলের মাধ্যমে তথ্য চুরি করছে। বিশেষ করে স্প্যাম বা ফিশিং মেইলে এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার হয়। তাই ই-মেইলের এক্সটার্নাল ছবি অ্যাকসেস করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। আউটলুকের মতো কিছু ই-মেইল সার্ভিস এক্সটার্নাল ইমেজ লোড করার সময় নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে তা স্ক্যান করে, যা একটি নিরাপদ পদ্ধতি। এটি চালু করতে আউটলুকের সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসি অ্যান্ড ডেটা> এক্সটার্নাল ইমেজ> অলওয়েস ইউজ দ্য আউটলুক সার্ভিস টু লোড ইমেজ অপশনটি চালু করলে হ্যাকিং থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

ই-মেইল ফিল্টারিং ও স্প্যাম কন্ট্রোল
বর্তমানে অধিকাংশ ই-মেইল ব্যবহারকারীর ইনবক্সে প্রকৃত মেইলের তুলনায় স্ক্যাম ও ফিশিং মেইল বেশি আসে। যদিও ই-মেইল সার্ভিসগুলো স্প্যাম ফিল্টার ব্যবহার করে, তবুও তা সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য নয়। ব্যক্তিগতভাবে অনুমোদিত প্রেরকদের একটি হোয়াইটলিস্ট তৈরি করে দিলে শুধু সেই প্রেরকরাই ই-মেইল পাঠাতে পারবে। এতে করে স্ক্যাম ও ফিশিং মেইলের ঝুঁকি কমে যায়। এভাবে অজানা লিংক, স্ক্যাম কিংবা বিপজ্জনক অ্যাটাচমেন্ট থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা যাবে।

অপরিচিত অ্যাটাচমেন্ট ব্লক
অজানা মেইল অ্যাটাচমেন্ট বিপজ্জনক। ফলে ডিভাইসে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার ছড়াতে পারে। তাই কেবল পরিচিত ব্যক্তি ও নির্ভরযোগ্য ডোমেইন থেকে অ্যাটাচমেন্ট গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার হ্যাকিংয়ের অন্যতম বড় কারণ। বর্তমানে অ্যাপল পাসওয়ার্ডসের মতো পাসওয়ার্ড জেনারেটর বা পাস কি ব্যবহার করা উচিত, যা সহজে অনুমানযোগ্য নয় এবং ফিশিং থেকেও রক্ষা করে। ই-মেইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুব একটা জটিল কাজ নয়। শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিং সচেতনভাবে চালু করলেই হ্যাকিং বন্ধ করা সম্ভব।

সূত্র : মেকইউজঅব 

বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ