দেশের মানুষ পোলাও-কোরমা চায় না, ভোট দিতে চায়: মঈন খান
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৬-০৬-২০২৫ ০৮:১৭:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৬-০৬-২০২৫ ০৮:১৭:৪০ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, মানুষকে যদি কেউ বলে যে, তুমি কি পোলাও-কোরমা চাও না কি, তুমি ভোট দিতে চাও। তখন বাংলাদেশের মানুষ বলবে, আমি ভোট দিতে চাই। না খেয়ে থাকলে অসুবিধা নেই।
সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
নির্বাচন নিয়ে কী কথা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে চায়। নতুন প্রজন্ম যারা দীর্ঘ ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, বাংলাদেশের কোটি-কোটি মানুষ তারা ভোট দিতে চায়। কাজেই ভোটের ব্যাপারে যখন একটা নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, যখন বলা হয় যে নির্বাচন কমিশন তাদের দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো বাংলাদেশের মানুষ উচ্ছ্বসিত হয়ে যায়। আমি খোলাখুলি বলছি, যে আমি তো গ্রামে ছিলাম, আমি দেখেছি মানুষের উচ্ছ্বাস। আমার মনে হয় সারাদেশে সেটাই ছিল।
ড. মঈন খান জানান, আলোচনায় ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও কীভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়েও কথা হয়েছে।
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো দাবি থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো দাবির বিষয় নয়। বরং বাংলাদেশের রাজনীতিকে দাবিদাওয়া আর প্রতিক্রিয়ার এই চক্র থেকে বের হতে হবে। দরকার পারস্পরিক সমঝোতার মনোভাব।
তিনি আরও বলেন, ১৩ জুন একটি বৈঠক হয়েছে। আমি ড. ইউনূস সাহেবকে বলেছি—শুধু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিন, দেশের সব সমস্যা একদিনেই দূর হয়ে যাবে। ১৩ জুনের পর থেকে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠেছে, গণতন্ত্র ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে। এ দেশ গণতন্ত্রের জন্যই সৃষ্টি হয়েছিল।
গণতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতদিন জবাবদিহিতা থাকবে না, ততদিন সরকার প্রধান শক্তিশালী হয়ে যাবেন। সঠিক জবাবদিহিতা থাকলে প্রধানমন্ত্রী নিজেও এভাবে একচ্ছত্র ক্ষমতাধর হয়ে উঠতেন না।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর সূত্রপাত গাজা উপত্যকা থেকে। ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশ্ব এক অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, লাভবান হয় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। আমরা শান্তিময় বিশ্ব দেখতে চাই।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স