ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ও গুরুত্বপূর্ণ শহর তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানের হামলার সময় ইসরায়েলের লাখো মানুষ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। বাদ পড়েননি ইসরায়েলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে ‘কঠিন’ একটি রাত কেটেছে।আমাকে ৫ বার আশ্রয়কেন্দ্রে (বাংকারে) যেতে হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এখন এখানে সপ্তাহের সপ্তম দিন। আমাদের চুপ থাকা উচিত। সম্ভবত এখন আর হামলা হবে না। গোটা জাতিকে আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এর আগে, গত ১২ জুন দিনগত রাতে হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলা এখনও অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করলে নিজের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে মাটির নিচে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন