ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমুনার তীর থেকে ১১টি মর্টার শেল উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১২-০৬-২০২৫ ১১:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-০৬-২০২৫ ১১:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন
যমুনার তীর থেকে ১১টি মর্টার শেল উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীর থেকে ১১টি বিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাটিতাপাড়া এলাকা থেকে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করা হয়।ধারণা করা হচ্ছে মর্টার শেলগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের। মরিচা ধরা অবস্থায় মর্টার শেলগুলো একত্রে পড়ে ছিল। কিছু শেলের গায়ে জং ধরে গেছে, আবার কিছু শেলের ভেতরের অংশ ফাঁপা হয়ে আছে।

স্থানীয়রা জানান, মো. শাহাদত নামে এক ব্যক্তি যমুনা নদীর পাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে মর্টার শেলগুলোর খোঁজ পান। হঠাৎ এসব বস্তু দেখতে পেয়ে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়।এলাকাবাসীর দাবি, উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মারক। তাদের মতে, ১৯৭১ সালে এই পাটিতাপাড়া ও মাটিকাটা যমুনা নদীর তীরে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই জাহাজ থেকেই মর্টার শেলগুলো নদীর তীরে চলে এসেছে।

স্থানীয় রুবেল, মনির ও রফিকুল জানান, তাদের পূর্বপুরুষদের মুখে শুনেছেন এই এলাকায় একটি পাকিস্তানি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। সেই স্মৃতিই আজ যেন আবার ফিরে এসেছে এই মর্টার শেল উদ্ধারের মাধ্যমে।নিকরাইল ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে এসে আমি মর্টার শেলগুলো নিজ চোখে দেখি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে ভূঞাপুর থানায় খবর দেই এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি, যেন শেলগুলো সঠিক প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা যায়।ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম রেজাউল করিম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের। অধিকাংশেরই ভিতরে কোন বিস্ফোরক নেই। শেলগুলো সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ