ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে সুবাতাস আনবে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১১-০৬-২০২৫ ০২:৫৪:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১১-০৬-২০২৫ ০২:৫৪:৪০ অপরাহ্ন
ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে সুবাতাস আনবে: রিজভী সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গোটা জাতি আজ লন্ডনের দিকে তাকিয়ে। আমি বিশ্বাস করি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে যে বৈঠক হতে যাচ্ছে, তা হবে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে।বুধবার (১১ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যেই ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। জাতি প্রত্যাশা করে, যৌক্তিক সময়েই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার মাধ্যমেই নির্বাচনসহ সব রাজনৈতিক সংকটের সমাধান সম্ভব।প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতি ভয়ংকর বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের তারা হিংস্র হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ‘বিদেশি’ তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় পুশইনের হিড়িক পড়েছে। প্রশ্ন করি, বাংলাদেশ কি বর্জ্য ফেলার জায়গা?তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, দেশের মানুষকে বিদেশি বানিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টার বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রয়োজন হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভারতকে মনে রাখতে হবে— অত্যাচার আর নিপীড়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনাও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি।

সম্প্রতি ভারতসহ বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ার খবরকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ভারতে ইতোমধ্যেই ৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশেও আক্রান্তের খবর এসেছে এবং একজন মারা গেছেন। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি বা ভূমিকা একেবারেই উল্লেখযোগ্য নয়।তিনি সরকারকে দ্রুত করণীয় নির্ধারণ করে কার্যকর প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু মারাত্মক রূপ নিচ্ছে। জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এর মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে।ঈদযাত্রাকে ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া যান চলাচলের কারণে প্রায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন আরও সক্রিয় হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব হতো।তিনি বলেন, ঈদের সময় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্মও দেখা গেছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে নির্ভয়ে ঈদ উদযাপনই হতে পারতো প্রকৃত আনন্দ। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি জনগণকে তা থেকে বঞ্চিত করেছে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ