ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শি জিনপিংয়ের মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০২:১৫:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০২-০৬-২০২৫ ০২:২৯:১১ অপরাহ্ন
শি জিনপিংয়ের মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান ​ছবি: সংগৃহীত
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিংয়ের মেয়ে শি মিংজে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন দাবি করে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ অতি ডানপন্থী রাজনৈতিক লরা লুমার। সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টের মাধ্যমে এ দাবি তোলেন তিনি। সোমবার (২ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ওই পোস্টে লরা লেখেন, মার্কিনভূমিতে মিংজে বসবাস ও পড়ালেখা করায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের নিরাপত্তা। এ কারণে তাকে  অবিলম্বে চীনে ফেরত পাঠানো উচিত।

এই ইস্যুতে ‘হ্যাশট্যাগ’ আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। লরা তার পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ট্যাগ করে লেখেন, ‘এবার যাও। শি জিনপিংয়ের মেয়েকে ফেরত পাঠাও। শি মিংজে ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে লেখাপড়া করেছেন।’

তবে শি মিংজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি লরা। গোটাটাই ‘গোপন সূত্রে পাওয়া খবর’ বলে চালাচ্ছেন তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যাপারে কোনও রকমের ইঙ্গিত দিতে রাজি নন ট্রাম্পের ‘ঘনিষ্ঠ’ মার্কিন রাজনীতিক। সরকারিভাবে এই নিয়ে ওয়াশিংটন কোনও বিবৃতি না দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এখনও পর্যন্ত শি-কন্যার সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা গেছে। তাঁকে প্রকাশ্যেও খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। ফলে মিংজের ছবিও ইন্টারনেট বা অন্যত্র নেই বললেই চলে।

শি-কন্যা মিংজেকে নিয়ে ২০১৫ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস'। সেখানে বলা হয়, নীরবেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন মিংজে। আর কোনও রকমের হইচই না করে সেখান থেকে বেরিয়েও যান তিনি।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শি মিংজে হার্ভার্ডে মনোবিজ্ঞান এবং ইংরেজি অধ্যয়ন করেছিলেন। এ সময় অন্য একটি নাম ব্যবহার করতেন মিংজে। সে সময় তার ঘনিষ্ঠজন ছাড়া আসল নাম কেউ জানত না।  

লরা এমন এক সময়ে এ দাবি তুলেছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ও নীতিতে চীনা প্রভাব নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। এছাড়া অভিবাসন নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকার নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের আইনি বিরোধ চলছে।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ