ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ দীর্ঘ সময় ধরে শূন্য থাকায় নগরবাসী প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ‘অন্তর্বর্তী মেয়র’ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেস সংঘের মহাসচিব ও সাবেক মেয়র প্রার্থী মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।
রোববার (১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমএস)-এর উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ডিএসসিসি’র বর্তমান অচলাবস্থায় রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের রুটিন দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমেই নাগরিক সেবা সচল রাখা যেতে পারে। তিনি জানান, ডিএসসিসি’র অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই এই প্রস্তাব এসেছে এবং অনেকেই এতে একমত পোষণ করেছেন।
আয়াতুল্লাহ আরও বলেন, বঙ্গভবন, সুপ্রিম কোর্ট, সচিবালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ অগণিত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন। মেয়রশূন্য এই অবস্থায় এসব অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায় স্থবিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী, "অন্তর্বর্তী মেয়র", "অতিরিক্ত মেয়র", "বিশেষ মেয়র" কিংবা "অটো মেয়র" পদে দায়িত্ব প্রদান করা হলে নগর সেবা পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
সংবিধানকে অপরিবর্তনীয় দলিল নয়, বরং সময়োপযোগী হালনাগাদের যোগ্য দলিল হিসেবে উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর জনগণ অন্তর্বর্তী সরকার মেনে নিয়েছে। এখন সংসদ না থাকায় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশই হচ্ছে সমস্যার কার্যকর সমাধানপত্র। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আগের নগরপিতা কোথায় গেলেন? পালিয়ে গেছেন নাকি অবকাশ যাপনে আছেন? জনগণ বিভ্রান্ত ও দিকহারা।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন নতুনধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, শহীদুন্নবী ডাবলুসহ অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরা। সভাপতিত্ব করেন মেস সংঘের সভাপতি হাবিবুর রহমান মনি। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মেস সংঘের ১৩ দফা দাবির লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন
