ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​ভুয়া কাগজে আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা, বিমানের কেবিন ক্রু আটক

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ০১:২৭:২৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ০৩:৪৫:৪০ অপরাহ্ন
​ভুয়া কাগজে আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা, বিমানের কেবিন ক্রু আটক ​ছবি: সংগৃহীত
ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশ বিমানের কেবিন ক্রু জেরিন তাসনিম অনিমা। 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় তার এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে ৫৮৭) একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে তার কাগজপত্র সন্দেহজনক মনে হলে তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। বিমান কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশনে গিয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হন যে, অনিমার কাগজপত্র ভুয়া। এরপর তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

বিষয়টি জানাজানি হলে বিমানের অভ্যন্তরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র এবিএম রওশন কবীর জানান, বিমানের কোনো কর্মীকে বিদেশে যেতে হলে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) নিতে হয়। কিন্তু অনিমার যে এনওসি ছিল, তা অবৈধ ছিল। এ ছাড়া তিনি এক বছরের স্টাডি লিভের আবেদন করেছিলেন, যা গৃহীত হয়নি। তাই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে যাত্রার অনুমতি দেয়নি।

তিনি বলেন, ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা অবশ্যই চাকরিবিধি পরিপন্থী।

জানা গেছে, অনিমার পিতা ফ্লাইট পার্সার। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছিলেন অনিমা। হজ মৌসুমে কেবিন ক্রুরা যখন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন, তখন অনিমা ভুয়া চিকিৎসা সনদ দাখিল করে ছুটি নিয়েছিলেন। এর মধ্যে গত ১ মার্চ মেডিক্যাল ছুটি নেন, যা ১৪ দিন করে কয়েক ধাপে বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বিমান সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, অনিমার হাতের প্লাস্টার ও এক্স-রে রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, অন্য ব্যক্তির এক্স-রে রিপোর্ট ব্যবহার করে তিনি চিকিৎসা সনদ তৈরি করেন, যা বিমানের চিকিৎসক ডা. মাসুদের সহায়তায় দাখিল করা হয়। তার স্টাডি লিভের আবেদনও নিয়মবহির্ভূত ছিল, কারণ চাকরির বয়স তিন বছর না হলে এ ধরনের ছুটি মঞ্জুরযোগ্য নয়। অথচ তার চাকরির বয়স মাত্র দুই বছর।

তারা আরও জানান, অনিমার বাবা আশরাফ আলী সরদার তদবির করে স্টাডি লিভের অনুমোদন করানোর চেষ্টা করেন। মূলত, ভিসা প্রক্রিয়ায় যেন কোনো জটিলতা না হয়, সেজন্যই তিনি ভুয়া চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি করেন। এপ্রিল মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও পান। পরবর্তীতে বিমানের প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়েই তার বাবা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন।

এ বিষয়ে জেরিন তাসনিম অনিমা ও তার বাবা আশরাফ আলী সরদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ