কী কারণে খুন হলেন সাম্য, জানালেন ডিএমপি কমিশনার
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৭-০৫-২০২৫ ১০:০১:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৫-২০২৫ ১০:০১:৫৫ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খাবার খেতে গিয়ে মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বির হাতে একটি ট্রেজার গান (ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার যন্ত্র) দেখতে পান ঢাবি ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য। কৌতূহলবশে সেটি দেখতে চান সাম্য। তবে রাব্বি দেখাতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ধস্তাধস্তিতে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে সাম্য নিহত হন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো.সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে জড়িত আটজন গ্রেপ্তারের পর সাম্য হত্যার নেপথ্যের কাহিনী বেরিয়ে আসে।
গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. রাব্বি, মেহেদী হাসান, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. রিপন, মো. সোহাগ, মো. রবিন, হৃদয় ইসলাম ও সুজন সরকার। ডিবির একাধিক দল গত কয়েকদিনে কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক ফুডকোর্ট ছিল। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত খাবার পাওয়া যেত। আমরা জানতে পেরেছি, সাম্য ও তার দুই সহপাঠী খাবারের জন্য সেখানে যান। তখন ট্রেজার গান নিয়ে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে অন্য মাদক কারবারিরাও এসে রাব্বীর সঙ্গে যোগ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনা ঘটে বলে এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি। তবে এর নেপথ্যে আর কোনো ঘটনা বা অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা সেটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিদের তিনটি দল আছে। একটি দল তিন নেতার মাজার এলাকায়, একটি উদ্যানের মাঝে, আরেকটি ছবির হাট ঘিরে সক্রিয়। এর মধ্যে একটি দলের নেতা মেহেদী হাসান। গ্রেপ্তার অপর সাতজন তার দলের। মেহেদীই মূলত সুইস গিয়ার সাপ্লাই দেন। ঘটনার দিন তিনি একটি ব্যাগে করে সুইস গিয়ারগুলো আনেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগীদের কাছে সরবরাহ করেন।
শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
গত ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম গত ১৪ মে শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স