মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনছে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৭-০৫-২০২৫ ০৯:১৪:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৫-২০২৫ ১০:০৫:১৬ অপরাহ্ন
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ‘অনতিবিলম্বে’ দায়িত্ব ত্যাগ করে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কি কারণে রাষ্ট্রদূততে দেশে ফেরানো হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পান মনোয়ার হোসেন। তিনি নেইপিডোতে সাবেক রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খানের স্থলাভিষিক্ত হন। ২০তম বিসিএসে ফরেন সার্ভিস ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেন মনোয়ার।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল রাখাইনে মানবিক করিডর দেয়া নিয়ে সরকারের নীতিগত সম্মতির তথ্য প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এরপর শুরু হয় করিডর বিতর্ক। প্রায় মাসখানেক কেটে গেলেও এখনও বিতর্ক থামেনি। চলছে সমালোচনা। এ ইস্যুতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে ছেড়ে কথা বলছে না। বরং ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে। বিষয়টি এতটাই সমালোচনার জন্ম দিয়েছে যে, সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে ‘বিশেষ’ ব্রিফ পর্যন্ত করে অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়েছে। তবে আলোচনা এখনো থামেনি।
করিডর ছাড়াও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। এটি প্রকাশ্যে আসায় সরকারকে তার জন্য মাশুলও দিতে হয়েছে। এ নিয়ে জেনারেল মিন অং হ্লায়িংয়ের সরকার ঢাকায় কূটনৈতিক পত্র দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এছাড়া গত এপ্রিলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় খলিলুর রহমান জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী উ-থান শোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের প্রসঙ্গ আসে। যদিও মিয়ানমার আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলেছে। পরে নতুন করে লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবরে ‘প্রত্যাবাসন’ নিয়ে উল্টো সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স