বাগেরহাটের ভৈরব নদীতে জোয়ারের চাপে পানি বৃদ্ধি পেলে একই সঙ্গে তলিয়ে যায় জেলা শহরের প্রানকেন্দ্র গুলি। এতে রাহাতের মোড়,ডাকবাংলা স্মৃতিসৌধ রোড,আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন সড়ক,পুরাতন বাজার সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় সড়ক,নাগেরবাজার, বাসাবাটি কেবি, রহমানিয়া স্কুলের সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। শহর তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলেও এর সুফল মেলেনি। গত ৫ দিন ধরে জোয়ারের পানি ঢুকছে শহরে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন এবং নদীর জোয়ারের পানি যাতে ঢুকতে না পারে এজন্য পরিকল্পনা মাফিক বেশ কয়েকটি গেট নির্মান করা হয়।কিন্তু এগুলোর কপাট বা গেটের সঠিক তদারকি করার জন্য দক্ষ জনবল না থাকায় পৌরবাসী ব্যাবসায়ীদের মালামাল বিনষ্ট সহ রাস্তাগুলো প্রশস্ত না হওয়া এবং সড়কগুলোর বেহাল দশা দীর্ঘদিন মেরামতের অভাবে রিক্সা অটোরিকশা ইজিবাইক চালক ড্রেনে পড়ে যায় এবং প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রী সাধারন।
পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা ওষুধ ব্যাবসায়ী হারুন-অর-রশিদ জানান, এ সমস্যা দীর্ঘদিনের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার ফসল হিসেবে উল্লেখ করেন। অপর পৌর নাগরিক এ্যাড. আসাদুজ্জামান বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।ড্রেনেজ ব্যাবস্থায় অপরিপক্ক পরিকল্পনা আর ভৈরব নদী বেষ্ঠিত শহর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই শহর ও বস্তী এলাকা তলিয়ে গিয়ে নাগরিক জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ যার কোন প্রতিকার নেই গত দেড় যুগে।
বাগেরহাট রহমানিয়া স্কুল সড়কের বাসিন্দা প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার বেলাল আহমেদ খান জানান, এখন শুকনা মৌসুম একটু জোয়ার বৃদ্ধি পেলেই তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, এ যেন এক বন্দীদশা। সামনে বর্ষা মৌসুমে তাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হবে। তার দাবি অচিরেই পৌর প্রশাসক যেন এর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক কমিশনার মাহাবুবুর রহমান টুটুল কে জানান, সম্পুর্ন অব্যবস্থাপনা, সরু রাস্তা আর সরু ড্রেন নির্মাণ এবং সেখানে ময়লা আবর্জনায় জোয়ারের পানি আটকে গিয়ে নিস্কাষনের অভাবে জন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর। বাগেরহাট পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, শহরের দশটি পয়েন্টে অবস্থিত গেটে ক্যাপ লাগালে আগামীকাল থেকে শহরে নদীর পানি প্রবেশ করবেনা। ক্যাপ কেনা হয়েছে এবং পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার তদারকিতে শ্রমিকরা রাতভর কাজ করবেন। তিনি আশা করেন এতে শহরের মানুষের স্বস্তি মিলবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন