কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ঈশ্বরগঞ্জে গরু চুরির ধুম
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৯-০৫-২০২৫ ০৬:৪৭:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৯-০৫-২০২৫ ০৬:৪৭:২৩ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু চুরির ধুম লেগেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। এক রাতে চার কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তালা কেটে ১১ টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরচক্র।
রোববার (১৮ মে) রাতে উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের দশাশিয়া গ্রামে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) মাইজবাগ ইউনিয়নের কুল্লাপাড়া গ্রামে এক রাতে তিন ভাইয়ের ৮ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি যাওয়া এই গরুগুলোর কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী কৃষকের মধ্যে-আঠারবাড়ী ইউনিয়নের দশাশিয়া গ্রামের মো. আবু বকর সিদ্দিকের ৬ টি, তার ভাই মো. সুলতানের ১ টি, একই এলাকার আবুল বাশারের ২ টি ও মো. ইসরাফিলের ২ টি মোট ১১ টি গরু চুরি হয়েছে। ১১ টি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো।
অন্যদিকে গত ১৩ মে রাতে মাইজবাগ ইউনিয়নের কুল্লাপাড়া গ্রামের আবু সাঈদ ভূঁইয়া, আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া ও আবুল কাশেম ভূঁইয়া নামে ৩ ভাইয়ের ৮ টি গরু নিয়ে যায় চোর চক্র। যার মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ টাকার মতো হবে।
কুল্লাপাড়া গ্রামের গরুর চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার ৬ দিন পার হলেও চোর শনাক্ত কিংবা গরু উদ্ধারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি পুলিশ। ফলে দিনদিনই সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে।
ভুক্তভোগী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এই ৬ টা গরুই আমার একমাত্র সম্বল ছিল। তারমধ্যে একটা বড় ষাঁড় ছিল। এই ষাঁড়টা কোরবানি ঈদে বিক্রি করব কত আশা ছিল। ষাঁড়টা বিক্রি করে যে টাকা হয় তা দিয়ে কিছু ঋণ আছে সেটা দিব আর বাকি টাকা দিয়ে কিছু জমি বর্গা ছাড়াব। কিন্তু তা আর হলো না চোরে আমার সব শেষ করে দিছে। আমি এখন কী করব আমি তো নিঃস্ব হয়ে গেছি, বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
ভুক্তভোগী মো. সুলতান বলেন, আমার গাভিটার পেটে বাচ্চা ছিল। গরীব মানুষ আমি সারাবছর টুকটাক গৃহস্থি করে নিজেরা খেয়ে না খেয়ে গাভিটা পালছি। গাভিটা বাচ্চা দেওয়ার পর দুধ বিক্রি করে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাব আর নিজেরা কোনমতে চলবো। হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আরও বলেন, চোরচক্র শুধু গাভিটাই নেয়নি, নিয়ে গেছে আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আঠারবাড়ী দশাশিয়া এলাকাটি পুলিশ ফাঁড়ির অধীনে। গরু চুরির খবরটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি মাইজবাগের চুরির বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত দিয়েছে। চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স