ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং

আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ০৬:০০:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১১-১০-২০২৪ ১২:৪৬:১২ অপরাহ্ন
​সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রখ্যাত নারী লেখক হান কাং। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১২১তম লেখক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
সাহিত্যে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান এ পুরস্কারের জন্য তাঁকে মনোনীত করার কারণ হিসেবে নোবেল কমিটি বলেছে, হান কাং তাঁর শক্তিশালী কাব্যিক গদ্যে ঐতিহাসিক যন্ত্রণাদায়ক বিষয়াবলীকে রূপায়ণ করেছেন। মানবজীবনের ভঙ্গুরতাও উঠে এসেছে তাতে।
৫৩ বছর বয়সী হান কাংয়ের লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি দক্ষিণ কোরীয় সাময়িকীতে এক গুচ্ছ কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ১৯৯৫ সালে ছোট গল্পের সংকলন প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাঁর গদ্য পাঠকের সামনে আসে।
পরবর্তীতে হান কাং দীর্ঘাকার গদ্য লেখা শুরু করেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ভেজেটারিয়ান’। হান কাংয়ের যে সব বই ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে, সেগুলোর প্রথম দিককার একটি এটি।
হান কাংয়ের এই উপন্যাস ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার পায়। এই উপন্যাসে তিনি মানুষের নিষ্ঠুরতা নিয়ে আতঙ্কে ভুগতে থাকা এক তরুণীর ‘বৃক্ষের মতো’ বেঁচে থাকার চেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
নোবেলজয়ের জন্য এই লেখক পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। 
২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। ২০২২ সালে সম্মানজনক এই পুরস্কার জেতেন ফরাসি লেখক অ্যানি আর্নাক্স। ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আব্দুলরাজাক গুর্নাহ।
১৯০১ সালে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন নারী এই পুরস্কার পেয়েছেন। হান কাং-এর আগে সর্বশেষ নারী বিজয়ী ছিলেন ফ্রান্সের অ্যানি এরনো। যিনি ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন।
বরাবরের মতই চিকিৎসা বিভাগের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) চলতি বছরের নোবেল মৌসুম শুরু হয়। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার ওপর আলো ফেলার স্বীকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যাম্ব্রস ও গ্যারি রাভকুন এ বার চিকিৎসার নোবেল জিতেছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঘোষণা হয় পদার্থবিদ্যার নোবেল। যাদের গবেষণার মধ্য দিয়ে ‘মেশিন লার্নিং’ বা যন্ত্রকে শেখানোর পথ খুলে গিয়েছিল, সেই দুই বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের জন জে হপফিল্ড এবং কানাডার জেওফ্রে ই হিন্টন চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন।
এরপর বুধবার (৯ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় রসায়নের নোবেল। প্রাণের অপরিহার্য জৈব অণু প্রোটিনের জটিল গঠন রহস্য উন্মোচনে ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার এবং ব্রিটিশ গবেষক ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পারকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) শান্তি এবং আগামী ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নোবেল পুরস্কার।

বাংলা স্কুপ/এইচবি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ