ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ , ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের সঙ্গে ছাত্রসেনার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রামের মুরাদপুর

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৫-০৫-২০২৫ ০৪:১০:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৫-০৫-২০২৫ ০৫:৩৩:৫০ অপরাহ্ন
পুলিশের সঙ্গে ছাত্রসেনার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রামের মুরাদপুর সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুরে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি ও গাজীপুরের এক মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ রঈস উদ্দিনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুরাদপুরে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশ অন্তত ১৫ জনকে আটক করেছে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর মোড় অবরোধ করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

মুরাদপুরে মোড়ে পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে আসার পর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা মুরাদপুর রেলগেট এলাকায় এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সেনাবাহিনীর একটি দল।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মিডিয়া সেলের প্রধান ফরিদুল ইসলাম বলেছেন, “আমাদের দিক থেকে প্রথমে হামলা হয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলাম। পুলিশ আমাদেরকে বাধা দিয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেককে আটক করা হয়েছে।”

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেছেন, সকাল ৯টা থেকে কয়েকশ লোক সড়ক অবরোধ করেছেন। আমরা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ঘণ্টাখানেক বোঝানোর পরও তারা মানেননি। তারা রোড ব্লক করবেনই। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় এবং লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।গত ২৭ এপ্রিল সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকার মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ রঈস উদ্দিনকে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে গাছে বেঁধে মারধর করে একদল লোক। সকাল ১০টার দিকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরদিন ভোরে কারাগারে মারা যান তিনি।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 
 
 
 
  


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ