ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ , ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​ডা. জুবাইদার নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা, প্রতিবেশীদের অসুবিধা চান না তারেক রহমান

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৫-০৫-২০২৫ ০২:৪৫:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৫-০৫-২০২৫ ০২:৪৫:১৫ অপরাহ্ন
​ডা. জুবাইদার নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা, প্রতিবেশীদের অসুবিধা চান না তারেক রহমান ​ফাইল ছবি
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। দেশে ফিরে ধানমন্ডিতে নিজের বাবার বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ উঠবেন তিনি।
জানা গেছে, জুবাইদা রহমানের আগমনকে ঘিরে ওই বাসায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ঘরের ভেতরে-বাইরে করা হচ্ছে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা, বসানো হয়েছে সিসিটিভি, নিশ্চিত করা হচ্ছে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, এমনকি বিকল্প বিদ্যুৎ-সরবরাহের জন্য জেনারেটরও।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির চারপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন সিএসএফ সদস্যরা, সঙ্গে থাকবেন পুলিশ সদস্যরাও। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে যেন এলাকাবাসীর কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তার কথায়, নিরাপত্তার নামে মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না—এটা স্পষ্ট নির্দেশ।
জুবাইদা রহমানের যাতায়াত ও নিরাপত্তার জন্য পৃথক যানবাহনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার গত ৩০ মে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি দিয়ে জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সেই চিঠিতে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় আর্চওয়ে ও পুলিশ পাহারার দাবি জানানো হয়। এর পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা মাহবুব ভবন পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থার খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করেন।
এখন ওই ভবনে বসবাস করছেন জুবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান ও তার পরিবার। জানা গেছে, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাফরুল থানায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সেই সাজা স্থগিত করা হয়।
মাহবুব আলী খানের দুই মেয়ের মধ্যে জুবাইদা রহমান ছোট, সেজন্য বাবা-মায়ের খুব আদরের। জন্ম সিলেটে। পড়ালেখা করেছেন ঢাকায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাবা-মায়ের আগ্রহে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি সেখান থেকে এমবিবিএস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ মেধায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালে বিসিএস দিয়ে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন তিনি। জুবাইদা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস-স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডন যাওয়া পরে শেখ হাসিনার সরকার তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। লন্ডন যাওয়ার পরে জুবাইদা ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর-এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। জুবাইদা রহমানের বাবা মাহবুব আলী খান ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৯৮৪ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এরপর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময়ে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ