ঢাকা , শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামুর্কীর সন্দেশ ঘিরে মির্জাপুরে খুশির জোয়ার

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০১-০৫-২০২৫ ০৭:৩১:৪২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-০৫-২০২৫ ০৭:৩২:৩৬ অপরাহ্ন
জামুর্কীর সন্দেশ ঘিরে মির্জাপুরে খুশির জোয়ার ​ছবি: সংগৃহীত
জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে শত বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীর সন্দেশ। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দোকানি এবং স্থানীয়দের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
 
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের কাছ থেকে স্বীকৃতি সনদ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া মধুপুরের আনারসের জিআই নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।

জামুর্কীর সন্দেশ স্থানীয়ভাবে কালিদাসের সন্দেশ হিসেবে পরিচিত। প্রায় শত বছর ধরে এই এলাকাসহ দেশব্যাপী এই সন্দেশ রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের আমলা, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ব্যক্তিসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। সুস্বাদু এই পণ্য কালিদাসের সন্দেশ হিসেবে একনামে সবার কাছে পরিচিত। এর গুণগত মান নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি।
 
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী বাজারে সাদামাটাভাবে স্থাপিত এই সন্দেশের দোকান। দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসে এই সন্দেশ কিনতে।

সমর সাহা বর্তমানে দোকানটি পরিচালনা করেন। তার বাবাও এই দোকান পরিচালনা করতেন। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দোকানি এবং স্থানীয়দের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। প্রতিদিন গুড় ও চিনির স্বাদে দুই ধরনের কয়েক মন সন্দেশ বিক্রি হলেও এর সঠিক হিসাব দেননি ব্যবসায়ী সমর সাহা।

সঠিক হিসেব না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘সরকার ভ্যাট ট্যাক্স বসাবে। আমাকে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। এতে ব্যবসায় মন্দাভাব চলে আসবে।’ বর্তমানে প্রতি কেজি সন্দেশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।

পাকুল্যা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকার পণ্য জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই স্বীকৃতিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের চেষ্টায় মির্জাপুরবাসীর চাওয়াকে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা এই এলাকার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ