নাইজেরিয়ায় রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২৬
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২৯-০৪-২০২৫ ০৪:১৪:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৯-০৪-২০২৫ ০৬:৩১:০৩ অপরাহ্ন
সাম্প্রতিক সময়ে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ছবি: রয়টার্স
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলন্ত ট্রাকের আঘাতে রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নারী ও শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বোর্নো রাজ্যের রান ও গাম্বারু এনগালা শহরের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই অঞ্চলটি বহুদিন ধরেই সহিংস উগ্রপন্থী গোষ্ঠী—বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স (আইএসডব্লিউএপি)-এর দখলে ছিল। সম্প্রতি সেখানে সহিংসতা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৬ জন পুরুষ, ৪ জন নারী এবং ৬ শিশু। বিস্ফোরণে আরও অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক সেনা কর্মকর্তা।
ঘটনাস্থলে থাকা আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ক সংগঠন আইএনএসও এক বিবৃতিতে জানায়, একটি গাড়ি চলার সময় রাস্তায় পেতে রাখা বোমার (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস-আইইডি) সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম সাআদ বলেন, “আমি নিহতদের জানাজায় অংশ নিয়েছি। অধিকাংশ মরদেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে শনাক্ত করাই কঠিন।”
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওতে রানের জেনারেল হাসপাতালে সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো সারি সারি মরদেহ দেখা গেছে।
বিস্ফোরণের দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। তবে নিহত এক ব্যক্তির সন্তান আব্বা আম্মা মুহাম্মদ দাবি করেন, এটি বোকো হারামের কাজ।
গত ১৫ বছর ধরে বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেটের পশ্চিম আফ্রিকান শাখা (আইএসডব্লিউএপি) ওই অঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এতে প্রাণ গেছে অন্তত ৪০ হাজার মানুষের।
নাইজেরীয় সরকার বারবার দাবি করলেও, বাস্তবে এসব জঙ্গি গোষ্ঠী এখনো এলাকাভিত্তিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর বোর্নোতে আইএসডব্লিউএপি নিয়মিতভাবে সামরিক যানবাহন ও বেসামরিক যান লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং সড়কে পেতে রাখে ল্যান্ডমাইন।
গত কয়েকদিনে ওই অঞ্চলে সহিংসতায় মোট প্রাণহানি ৫০ ছাড়িয়েছে। সোমবারই আরেকটি ঘটনায় আদামাওয়া রাজ্যে বোকো হারাম ‘সিভিলিয়ান জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স (সিজেটিএফ)’ এর ১০ সদস্যকে হত্যা করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার তারা বোর্নোর গোজা জেলায় ১৪ জন কৃষককে হত্যা করে।
বোর্নো রাজ্যের গভর্নর বাবাগানা উমারা জুলুম জানান, সাম্প্রতিক কিছু সামরিক ব্যর্থতার কারণে সন্ত্রাসীরা লেক চাদ, সামবিসা অরণ্য এবং মানডারা পাহাড়ের মতো দুর্গম এলাকাগুলোতে আবার ঘাঁটি গড়ে তুলছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স