গাজায় পূর্ণ মাত্রার দুর্ভিক্ষ হতে পারে, সতর্ক করল জাতিসংঘ
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২৭-০৪-২০২৫ ০৭:১৯:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৪-২০২৫ ০৮:৫২:৩৯ অপরাহ্ন
শুধু মটরশুঁটি আর ভাত খেয়ে দিন পার করছে নাজ্জারের পরিবার। ছবি: এপি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় পুরোপুরিভাবে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) গাজার প্রধান জোনাথন হুইটল বলেছেন, “সামনে যে দিনগুলো আসছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইসরায়েলের অবরোধ গাজার মানুষের জন্য অন্তহীন দুর্ভোগ তৈরি করেছে। আজ গাজায় মানুষ টিকে নেই। যারা বোমা ও গুলিতে নিহত হচ্ছে না, তারা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে।”
রোববার (২৭ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হচ্ছে, প্রায় ৬০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ সব ধরনের ত্রাণ ঢোকা বন্ধ রয়েছে।
গাজার প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি এখন মূলত কৌটাজাত সবজি, চাল, পাস্তা ও ডাল খেয়ে বেঁচে আছেন। দুধ, মাংস, চিজ ও ফলমূল তাদের খাদ্য তালিকা থেকে উধাও হয়ে গেছে। রুটি ও ডিমের যোগান নেই বললেই চলে।
কিছু সবজি ও অন্যান্য জিনিসের দাম প্রায় আকাশ ছোঁয়া। এগুলো বেশিরভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো জানিয়েছে, তারা শিশুদের খাদ্য জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে। সাধারণত শুক্রবার গাজাবাসীরা মাংস, সবজি ও অন্যান্য দামী ঐতিহ্যবাহী খাবার খেত। এখন তাদের অনেককে শুধু মটরশুঁটি ও ভাত খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
আল নাজ্জার নামে এক নারী বলেন, “আমরা এমন কোনো খাবারই পাই না, যা প্রোটিন ও পুষ্টি সরবরাহ করে।” গাজায় যেটুকু খাবার আছে, সেটি শেষ হয়ে গেলে শিশুদের কী খাওয়াবেন এমন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
আল নাজ্জার বলেন, “হয়ত আমাদের বালু খেয়ে থাকতে হবে।”
এদিকে শনিবারও ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলায় গাজায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া খান ইউনুসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ১২ জন আহত হন। এরা বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য নির্ধারিত একটি তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে নিতে হামাস কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে। সেখানে জিম্মিদের মুক্তি, যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান ঘোষণা এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের সেনাদের পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহারের আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছেছে। হাজার হাজার মানুষের মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স