শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে আলোচনার পরও অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি কুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছিলেন অনশন ভাঙার জন্য। কিন্তু ভিসির পদত্যাগ ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, একদফা দাবিতে আমরণ অনশনের তৃতীয়দিন পার করছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী ২৭ শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে ৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) কুয়েট ক্যাম্পাসে আসেন শিক্ষা উপদেষ্টা। পরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সি আর আবরার। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। গতকাল অনশনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে এই গরমের মধ্যে। আমি তাদের জন্য ভীষণভাবে শঙ্কিত। গতকাল আমরা তিনজনের একটা কমিটি করেছি। তাঁরা এসে সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে আমাদের একটা সুপারিশ দেবেন। এরপর আমরা পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করব। তাঁরা চাইছেন, আমরা এখনই কোনো ঘোষণা দিই, যার মাধ্যমে তাঁরা অনশন শেষ করতে পারেন। আমি তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করছি যে আইনি বিষয়ে আছে। আমরা যা–ই করি না কেন, সেটা আইন দ্বারা নির্দিষ্ট হতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার নির্দিষ্ট আইন আছে। সেই আইনের মধ্য থেকেই আমাদের কমিটি সুপারিশ করবে বলে আশা করছি। সুপারিশ আমাদের হাতে এলে আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সেটা কার্যকর করা যায়।’
শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সেখানে তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে ঢাকা থেকে আসা ইউজিসির দুই সদস্য প্রফেসর তানজিম আহমেদ ও প্রফেসর সাইদুর রহমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনশন তুলে নেওয়ার জন্য কথা বলছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে অনশনে বসেন।
যদিও কুয়েটের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, শিক্ষা উপদেষ্টা কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনালাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুয়েটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল কুয়েট প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন কতিপয় শিক্ষার্থী। পরদিন ছয়টি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
কুয়েটে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা উপদেষ্টা